Cvoice24.com


মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট, অসংগতিতে মামলা

প্রকাশিত: ১৩:৫৩, ৭ জানুয়ারি ২০১৯
মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট, অসংগতিতে মামলা

লাইসেন্স, ফিটনেস, রেজিস্ট্রেশন বিহীন যান চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তৎপর হয়ে উঠেছে সিএমপি‘র ট্রাফিক বিভাগে । নির্বাচনের পর থেকে নগরীর বহদ্দারহাট মোড়, জিইসি মোড়, টাইগারপাস, আগ্রাবাদ, নিউ মার্কেট মোড়সহ বেশ কিছু এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের বাড়তি তৎপরতা দেখা গেছে। কোথাও কোন অসংগতি পেলেই মামলা দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি ইতিবাচক মনে করছেন যাত্রীরা।

কলেজ ছাত্রী নাজমা সোলতানা মিলি বলেন, আমরা নিরাপদ সড়কের দাবীতে আন্দোলন করেছিলাম। কিন্তু সড়ক এখনও নিরাপদ হয়নি। সড়কে এখনো অসচেতন চালকদের কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে।

শাহিন আক্তার নামে এক গৃহিণী দাবি করেন, ট্রাফিক পুলিশ তৎপর হলে বিশৃঙ্খলা হওয়ার কোন সম্ভাবনায় নেই। ট্রাফিকরা অবহেলা করে বলেই সড়কে এত অনিয়ম আর বিশৃঙ্খলা। আমরা অনুরোধ করবো যাতে ট্রাফিকরা রাস্তায় ঠিকমত ডিউটি করে।

এদিকে সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন মোড় ঘুরে দেখা গেছে, বাস, মোটরসাইকেল, সিএনজি, প্রাইভেটকার, লেগুনা থামিয়ে রেজিস্ট্রেশন ও চালকের লাইসেন্সসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেক করতে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশকে। কাগজপত্র ও চালকদের লাইসেন্স চেক করে ত্রুটি পেলেই জরিমানা করছেন তারা।

ট্রাফিক পুলিশের এই সক্রিয় ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কলেজ প্রভাষক মো. ফেরদৌস। তিনি সিভয়েসকে বলেন, নিয়মিত যদি ট্রাফিক সার্জেন্টরা এমন অভিযান পরিচালনা করতো তাহলে ট্রাফিকের বিরুদ্ধে যে সাধারণ মানুষের একটা নেতিবাচক ধারণা আছে সেটি পাল্টে যেতো। আমরা এখন তাদের কর্মকাণ্ড দেখে সন্তোষ্ট।

ওয়াসা এলাকার বাসিন্দা মো. মিনহাজ বলেন, প্রতিনিয়ত ট্রাফিক পুলিশের এমন তৎপরতা থাকা চাই। তাদের একটা দায়িত্ব আছে। এটা তাদেরই কাজ।

ট্রাফিক বিভাগ বন্দরের সার্জেন্ট মো. নাজিম উদ্দিন জানান, আমাদের নিয়মিত কাজ হচ্ছে রাস্তা যানজটমুক্ত রাখা। তার পাশাপাশি আমরা গাড়ির কাগজপত্র চেক করি। তাতে যদি গড়মিল দেখা যায় সাথে সাথে আমরা মামলা দিয়ে দিচ্ছি আর যদি কাগজপত্র দেখাতে না পারে, তাহলে গাড়ি ড্যাম্পিং এ পাঠিয়ে দিচ্ছি।

গাড়ি চেক করার সময় তো সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হয় এতে তো তারা আপনাদের উপর ক্ষিপ্ত হতে পারেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের সুবিধার্তে আমরা আমাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি। উনারা যদি আমাদেরকে আমাদের কাজ করার সুবিধা দেয় তাহলে আমরা আরও ভাল পারফরমেন্স দেখাতে পারবো।

সিএমপি ট্রাফিকের উত্তর বিভাগের ইন্সপেক্টর সুভাষ চন্দ্র দে জানান, যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে একটি মোবাইল টিম। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে একজন সার্জেন্ট। এ মোবাইল টিমে রয়েছে ১০টি বাই সাইকেল। মোবাইল টিমের কাজ হচ্ছে বাই সাইকেল ব্যবহার করে যেখানে সমস্যা সেখানে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা। এটা আমাদের জন্য অনেক সাড়া ফেলেছে। আমরা এ টিমের মাধ্যমে দ্রুত রাস্তার যানজট নিরসন করতে পারি।

এ বিষয়ে কথা হয় সিএমপি ট্রাফিকের উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. হারুন অর রশিদ হাজারীর সাথে। তিনি সিভয়েসকে বলেন, আমরা ডিসেম্বরের প্রথমদিক থেকেই অভিযান শুরু করেছি। শুধুমাত্র নির্বাচনের কারণে একটু আমাদের কাজের বিঘ্ন হয়। তবুও আমরা সড়ক যানজটমুক্ত রাখতে চেষ্টা করেছি।এখন থেকে নিয়মিত অভিযান চলবে।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি ট্রাফিক সার্জেন্টদের নিয়মিত কাজের মধ্যে গাড়ির কাগজপত্র দেখা হলো গুরুত্বপূর্ণ। সকাল বিকেল ২ শিফটে সার্জেন্টরা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অবস্থান করে। সচেতনদের অভিমত, ট্রাফিকরা যদি এমন ডিউটি করে তাহলে অতি শীঘ্রই অবৈধ গাড়ি আর লাইসেন্সবিহীন গাড়ির ব্যাপারে একটা সুষ্ঠু পরিবর্তন নগরীতে আনা যাবে।

-সিভয়েস/এস

মনিরুল ইসলাম মুন্না

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়