Cvoice24.com


জাহাজে সোনাদিয়া ভ্রমণের সুযোগ

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ৪ জানুয়ারি ২০১৯
জাহাজে সোনাদিয়া  ভ্রমণের সুযোগ

মাঝারী সামুদ্রিক জাহাজ এসটি শহীদ সুকান্ত বাবু। সকাল ১০ টার পর পর প্রায় একশ’ যাত্রী নিয়ে ভার্জিন দ্বীপ সোনাদিয়া’র উদ্দ্যেশে ছেড়েছে এই প্রমোদ তরী। গত বছরের নভেম্বর মাসে চালু হবার পর পর্যটকদের দৃষ্টি আর্কষণ করেছে জাহাজটি। কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছটা আই.ডব্লিউ.টি.এ টার্মিনাল জেটি থেকে প্রতিদিন শ‘খানের যাত্রী নিয়ে সোনাদীয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।

জেটি থেকেই সমুদ্রের নীলাভ জলরাশি দেখা যায়। উপকূলের প্যারবনের সাথে অনবরত ঢেউ খেলছে এই জলরাশি। ফারহান এক্সপ্রেস ট্যুরিজম এসটি শহীদ সুকান্ত বাবু জাহাজটি চালুর পর সোনাদীয়ার প্রতি পর্যটকদের আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। যা সোনাদীয়া দ্বীপের পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। জাহাজে চড়ে সোনাদীয়া যেতে যেতে পর্যটকরা হারিয়ে যান এর রূপের মৌহে। জাহাজের এক কোণায় এক দল তরুণ কন্ঠ ছেড়ে গায়তে শুরু করলো চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের শিল্পী সনজিৎ আচার্যের গাওয়া সাম্পানওয়ালা ছায়াছবির সেই ঐতিহাসিক গান “মইশখালী-বাঁশখালী, পাল উড়াইয়া দিলে সাম্পান ঘুর ঘুরাই চলে, তোরা খন খন যাবি আর সাম্পানে”।

পর্যটকদের কাছে ভার্জিন দ্বীপ নামে পরিচিত সোনাদিয়া। দ্বীপের বুকে রূপালী শুটকি আর মৎস্য খাদ্য তৈরীর ধুম চলছে। শুটকিজীবীদের জীবন-জীবিকা, কর্মব্যস্ততা দরিয়া নগরের ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী আদিনাথ জেটিতে পৌঁছাতেই পাহাড়ের সাথে স্বগৌরবে মিশে যাওয়ার মন মাতানো অপরূপ দৃশ্যের জুড়ি মেলা ভার। জেটির দু’পাশে প্রকৃতিকভাবে গড়ে উঠা অপরূপ ও নান্দনিক প্যারাবন যেন মহান আল্লাহতায়লার অনিন্দসুন্দর সৃষ্টিকে বার বার স্মরণ করিয়ে দেয়। ফারহান এক্সপ্রেস ট্যুরিজমের এই জাহাজে আছে দেশজ খাবারে মধ্যাহৃভোজের সুযোগ। এই জাহাজে কক্সবাজার থেকে মাত্র ৪০ মিনিটে সোনাদীয়া দ্বীপে যাওয়া যায়। জনপ্রতি ভাড়া ১ হাজার ৪৫০ টাকা মাত্র।

নদী আর সাগরের  এই দেশেও ব্যস্ততার কারণে দরিয়া ভ্রমনের সুযোগ খুব একটা হয় না। নতুন এই জাহাজ সার্ভিস কক্সবাজারের পর্যটনে যুক্ত করেছে এক আলাদা মাত্রা। গত ১ জানুয়ারি বছরের প্রথম দিনে কথা হয় এই প্রমোদ তরীর যাত্রীদের সাথে। তারা বলেন, সেন্টমার্টিনের চেয়ে অনেক ভালো ভ্রমন হয়েছে।   ফারহান এক্সপ্রেস ট্যুরিজমের সত্ত্বাধিকারী হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, আমরা প্রাথমিক ভাবে একটি জাহাজের মাধ্যমে পর্যটকদের ভ্রমনের ব্যবস্থা করেছি। এটি সুবিধামত হলে পর্যায়ক্রমে আরো জাহাজ অর্ন্তভুক্ত করা হবে। ফলে সোনাদিয়া দ্বীপে ভ্রমন পিপাসুদের মিলন মেলা ঘটবে। এটি কক্সবাজারে পর্যটন শিল্পে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।

-সিভয়েস/এসএ

 

এম বশির উল্লাহ, মহেশখালী

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়