Cvoice24.com


‘মুক্তিযুদ্ধকে জানার নতুন দ্বার খুলে দেবে ইডিইউ’

প্রকাশিত: ১৫:২৬, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮
‘মুক্তিযুদ্ধকে জানার নতুন  দ্বার খুলে দেবে ইডিইউ’

ভবিষ্যতে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি মুক্তিযুদ্ধকে জানার নতুন দ্বার খুলে দেবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক।

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ) ক্যাম্পাসে আয়োজিত ‘মুক্তিযোদ্ধারা জাতির অহংকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফারুক-ই-আজম বলেন, যে প্রত্যাশা নিয়ে দেশকে আমরা স্বাধীন করেছি, তা এখনো পরিপূর্ণতা পায়নি। আমাদের মধ্যে এখনো অর্থনৈতিক বৈষম্য রয়েছে। এর ফলে নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় সৃষ্টি হচ্ছে সমাজে। যা মোটেই কাম্য নয়।

তিনি আরো বলেন, তরুণদের অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বই মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়ের অন্যতম কারণ। তাই বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে তরুণদের মধ্যে নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে এবং এর জন্য প্লাটফর্ম তৈরি করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, যুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম হিসেবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা বা অংশগ্রহণ না থাকলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করার ক্ষেত্রে আমরা কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। বিশ্বের যেকোনো আন্দোলন সংগঠিত হওয়ার প্রধানতম কারণ হলো, ভালো থাকতে চাওয়া। শুধু নিজে ভালো থাকা নয়, অন্যের ভালো থাকা নিশ্চিত করা। অন্যের জন্য করতে চাওয়াটাই আমাদের বেঁচে থাকার মূলমন্ত্র হওয়া উচিত। নয়তো এই দেশ, এই বিশ্ব বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে।

রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ট্রেজারার প্রফেসর সামস-উদ-দোহা।

তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিলো একাধারে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক। পাকিস্তানে এখনো অনেক অঞ্চল আছে, যেখানে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। বাংলাদেশ যদি স্বাধীন না হতো তাহলে আমাদের অবস্থাও এখনো ওইসব অঞ্চলের মতোই থাকতো।

বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য থেকে প্রেরণা নিয়ে বর্তমান গুমোট পরিস্থিতি কাটানোর সাহস সঞ্চয় করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ের কথা বলেন যুদ্ধপরবর্তী নবগঠিত চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ইডিইউর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাইজারি বোর্ডের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকউদ্দীন আহমেদ।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী। আরো বক্তব্য রাখেন প্রক্টর অনন্যা নন্দী।

-সিভয়েস/আরএইচ

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়