Cvoice24.com


নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই চট্টগ্রামে চলছে প্রার্থীদের প্রচারণা

প্রকাশিত: ১১:৪৬, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই চট্টগ্রামে চলছে প্রার্থীদের প্রচারণা

নির্বাচনী পোস্টারে দলীয় প্রধানের বাইরে অন্য কোনও দলের কারো ছবি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চট্টগ্রামে এই নিয়ম মানছেন না অনেক প্রার্থী। কমিশনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রার্থীরা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। চট্টগ্রামের দুই প্রধান জোটের পাঁচ প্রার্থী নিজ দলের বাইরে গিয়ে পোস্টারে অন্য দলের প্রধানের ছবি ব্যবহার করছেন। 
 
ইসির বিধি ভেঙে শরীক দলের পাঁচ প্রার্থী নিজ দলের বাইরে গিয়ে জোটের প্রধানের ছবি ব্যবহার করে পোস্টার ছাপিয়ে প্রচারণা করছেন।  
 
নিয়ম ভঙ্গকারী এসব সংসদ সদস্য প্রার্থীরা হলেন- চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের নজিবুল বশর, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনের ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনের নুরুল আলম, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের মঈন উদ্দিন খান বাদল। তবে সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম এলডিপির সভাপতি চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে প্রার্থী অলি আহমেদ। 
 
বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান। 
 

এদিকে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের নিবন্ধিত শরিক দলের প্রার্থীদের পোস্টারে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছবি ব্যবহারের অনুমতি চাইলে ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নিবন্ধিত কোনও দলের প্রার্থী তাদের জোটের প্রতীক ব্যবহার করতে পারলেও ওই দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টারে ব্যবহার করতে পারবে না। যারা দলের মনোনীত প্রার্থী তারাই কেবল দলীয় প্রধানের ছবি ব্যবহার করতে পারবে।’ 
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন বলেন, আমরা শুনেছি কয়েকজন প্রার্থী এমন কাজ করেছেন। তবে কেউ যদি এটার বিরুদ্ধে রিটার্নিং অফিসার বরাবর অভিযোগ করে তবে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  
 
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের মহাজোট মনোনীত প্রার্থী ত্বরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। তিনি লড়ছেন জোটের প্রধান দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে। তবে তিনি নিজ দলের প্রধান হলেও পোস্টারে বিধি ভেঙে ব্যবহার করেছেন মহাজোটের প্রধানদল আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছবি। 
 
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে মহাজোট মনোনীত জাতীয় পার্টির প্রার্থী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও তিনি নিজ দলের প্রধান এরশাদের ছবি ব্যবহার না করে বিধি ভেঙ্গে পোস্টারে ছবি ব্যবহার করেছেন মহাজোট নেত্রী শেখ হাসিনার ছবি। 
 
একই আসনে ২০ দলীয় জোট মনোনীত প্রার্থী বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। জোটের সিদ্ধান্তে তিনি ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করলেও তিনিও বিধি ভেঙ্গে ব্যবহার করেছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ছবি। যদিও তিনি নিজেও জোটের শরীক দলের প্রধান হিসেবে তাঁর ছবি ব্যবহার করার কথা। 
 
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে ২০ দলীয় জোট মনোনীত প্রার্থী শরীক দল এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল আলমও একই। তিনি বিধি ভেঙ্গে নিজ পোস্টারে ব্যবহার করেছেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি। তিনিও পোস্টারে ব্যবহার করেননি এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদের ছবি। 
 
তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম চট্টগ্রাম- ১৪ (চন্দনাইশ) আসনের ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী অলি আহমেদ। তাঁর পোস্টারে নিজের ছাড়া কারো ছবি ব্যবহার করেননি। তিনি নিজে লড়ছেন নিজ দলের প্রতীক ছাতা নিয়ে। 

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনেও ব্যতিক্রম নয়। জাসদের কার্যকরি সভাপতি মঈনউদ্দিন খান বাদল নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও তিনিও বিধি ভেঙে পোস্টার ছাপিয়েছেন। অথচ জাসদ ভেঙে দু’ধারায় বিভক্ত অনিবন্ধিত দলের সভাপতিও তিনি। তার দলের প্রধান শরীফ নুরুল আম্বিয়া হলেও তিনিও ব্যবহার করেছেন জোট প্রধান সভাপতি শেখ হাসিনার ছবি। 
 
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবং রিটার্নিং অফিসার মো. আব্দুল মান্নান সিভয়েসকে বলেন, নির্বাচন কমিশনে নিজ দলীয় প্রধানের ছবি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু জোটের প্রতীক ব্যবহার করতে পারলেও অন্য দলের প্রধানের ছবি পোস্টারে ব্যবহার করতে পারবে না। তা নিয়ে আমরা ভিজিল্যান্স কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তারা সবাই মাঠে থাকবে। যদি এমনই দেখতে পাই, তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। 
 
-সিভয়েস/এমআইএম/এসএ/এমইউ

মনিরুল ইসলাম মুন্না   

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়