Cvoice24.com


ভুটানকে ২০ কোটি টাকার ওষুধ দিলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮
ভুটানকে ২০ কোটি টাকার ওষুধ দিলো বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভুটানকে বিনামূল্যে ২০ কোটি টাকার ২৫৮ ধরনের ওষুধ দিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর প্রথম কিস্তি, ৮ নভেম্বর দ্বিতীয় এবং মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) শেষ চালানটি ভুটান কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।

আজ বুধবার (১২ ডিসেম্বর) ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী গত বছরের ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল তিনদিন ভুটান সফর করেছিলেন। তখন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভুটান হেলথ ট্রাস্ট ফান্ডকে এক বছরের (২০১৯ সন) অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভুটানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে ব্যবহার উপযোগী ও প্রয়োজনীয় ৪২৯টি ওষুধের চাহিদাপত্র বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। পরে ওষুধ সরবরাহের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য তালিকাটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আসে। তারপর তালিকা অনুসারে ওষুধ দেওয়ার দায়িত্ব পায় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।

দফতরটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তাছাড়া ওষুধ শিল্প সমিতির সঙ্গে আলোচনা করেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর এই মহতী ও মানবিক উদ্যোগকে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি স্বাগত জানিয়েছে। সেইসঙ্গে তা বাস্তবায়নের জন্য সক্রিয়ভাবে তারা এগিয়েও আসে।

পরে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ওষুধ শিল্প সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে ২০১৯ সালের জন্য বাংলাদেশে নিবন্ধিত ২৫৮টি জেনেরিকের ওষুধ বিনামূল্যে ভুটানে পাঠানোর উদ্দেশে সংগ্রহ করে। এর আগে গত বছরের ২৪ থেকে ২৯ ডিসেম্বর ভুটান থেকে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে। তখন এ দলের সঙ্গে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দু’টি সভা হয়। এতে ভুটান সরকারের চাহিদা অনুযায়ী তিন কিস্তিতে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ পরিপ্রেক্ষিতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে শেষ চালানটি হস্তান্তর করে ওষুধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। এ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকারের পাঁচ সদস্যের দলের নেতৃত্ব দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আব্দুল ওহাব খান ও ভুটানের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সোনম দাওয়া।

বাংলাদেশের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের সহকারী পরিচালক ড. নাসের ইকবাল, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. ইয়াহইয়া, পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল, অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানির বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের ম্যানেজার রিয়াদ আরেফিন, বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার (এসি) একেএম খায়রুল বাশার, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম ও লালমরিহাট ওষুধ প্রশাসনের ড্রাগ সুপার তৌহিদুল ইসলাম।

সিভয়েস/এস.আর

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়