Cvoice24.com


ঘুরে আসুন চকরিয়ার ‘নলবিলা শাপলা’ বিলে

প্রকাশিত: ১০:০৯, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮
ঘুরে আসুন চকরিয়ার ‘নলবিলা শাপলা’ বিলে

চকরিয়ার ‘নলবিলা শাপলা’ বিল। ছবি : প্রতিনিধি

চকরিয়া উপজেলা সদরের পাশে লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন। ছোট্ট এই ইউনিয়নের অপরূপ সৌন্দর্য্য স্থান ঐতিহ্যবাহী ‘নলবিলা’ শাপলা বিল। 

পাহাড় ঘেঁষা বিশাল এ বিলে ভ্রমণ পিপাসুদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। হাজার হাজার শাপলার মাঝ দিয়ে নৌকা নিয়ে গেলে মনে হয় শাপলার দেশে যেন এক খন্ড নৌকা। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগে দর্শনার্থীরা দলবেঁধে ছুটে যায় ‘নলবিলা’ শাপলা বিলে। 

এখানে সারা বছর শাপলা ফোটার কারণে এটির নামকরণ করা হয় ‘নলবিলা’ শাপলা বিল। শাপলা ছাড়াও এখানে প্রতি বছর শীত মৌসুমে হাজার অতিথি পাখির আগমন ঘটে। 

উপজেলার লক্ষ্যারচর, কাকারা ও কৈয়ারবিল তিনটি ইউনিয়নের মাঝখানে বিশাল অংশজুড়ে এ বিলের বিস্তৃতি। বর্ষা মৌসুমে এই বিলে পাহাড়ি ঢলের পানি ও বন্যার পানি প্রবেশ করে। বর্ষার পরপরই পানি একটু কমলে প্রতিদিন ভ্রমণ পিপাসুরা নৌকা নিয়ে ঘুরতে যায়। বর্ষার জলরাশির বুকে ঝাঁকে ঝাঁকে শাপলা ফুটে, তার সাথে নৌকার পাল তুলে ঘুরতে কার না মন চায়। 

বিশেষ করে ঈদ ও কোরবানির সময় ছাড়াও ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠে শাপলা বিল। 

কিছু দিন ধরে দুর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসছে। কক্সবাজার, পেকুয়া, লামা, আলীকদম, লোহাগাড়া থেকে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসছেন শাপলাবিলে।

বিকেল বেলায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বসে শাপলা বিলে হাজার হাজার শাপলা দেখে মুগ্ধ হয়ে যায় দর্শনার্থীরা। রাস্তার পাশ থেকে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত শাপলা বিলের অপরূপ উপভোগ করা যায়। শাপলা বিলের পাশে চকরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস শেষে ঘুরতে যায়। আস্তে আস্তে শাপলা বিলে সৌন্দর্য্য উপভোগে মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। 
যদি প্রশাসনের পক্ষে নানাবিধ সুবিধা দেওয়া হয় তাহলে ‘নলবিলা’ শাপলা বিল পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে। 

‘নলবিলা’ শাপলা বিলে ঘুরতে যাওয়া একজন দর্শনার্থী নাজমুল হাসান লিটন বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল বেলায় দর্শনার্থীরা শাপলা বিলে নৌকা ভ্রমণে আসে শুনে আমরা দল বেঁধে ২০জন আসেছি। নৌকা ভাড়া নিয়ে আমরা ঘুরে খুব ভাল লেগেছে। বেশ কিছুদিন ধরে অনেক দূর থেকে পর্যটকের আগমনও মুখরিত হচ্ছে। যদি সরকারের পক্ষ থেকে এখানে বসার ও পর্যটন টাওয়ার করা হয় তাহলে আরো পর্যটক বৃদ্ধি পাবে। তাহলে আরো নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের।’

‘নলবিলা’ শাপলা বিল নৌকা নিয়ে বেড়াতে যাওয়া দর্শনার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘বর্ষার থেকে প্রায় ৬-৮ মাস শাপলা বিলে প্রচুর পানি থাকে। এসময় শাপলার ফুলে ফুলে ভরে যায় বিলটি। এতে পর্যটকরা দলবেঁধে ঘুরতে যায়। বিকেল বেলায় শাপলা বিলে ঘুরতে খুব ভাল লাগে।’

কাকারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত ওসমান বলেন, ‘এ বিলে মনোরম পরিবেশ ভ্রমণ পিপাসুদের আকৃষ্ট করেছে। শীত মৌসুমে অতিথি পাখি ও শাপলা বিলে পানি থাকলে হাজার হাজার শাপলা ফুটে। এ সময় উৎসুক দর্শক তা দেখতে ছুটে আসে।’

চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়া বেগম শম্পা বলেন, চকরিয়ার ঐতিহ্যবাহী ‘নলবিলা’ শাপলা বিল পর্যটন শিল্প বিকাশে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সৌন্দর্য উপভোগের উপযুক্ত স্থান হিসেবে দর্শনার্থীদের কাছে আগ্রহও বেড়েছে।  

-সিভয়েস/এসএইচ

আজিম নিহাদ, কক্সবাজার

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়