Cvoice24.com


ভিকারুননিসার ভর্তি পরীক্ষায় তৃতীয় হয়েছিল অরিত্রি

প্রকাশিত: ১১:২৬, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮
ভিকারুননিসার ভর্তি পরীক্ষায় তৃতীয় হয়েছিল অরিত্রি

এই লেখা আমি শেয়ার দেবো কোন দিন ভাবি ও নাই।

কথাটা ভিকারুননিসার নবম শ্রেণীতে পড়া মেয়ে ঐশি (অরিত্রি) কে নিয়ে। যে কিনা আজকে দুপুরে ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করে, বাবা মা কে ভয়ানক অপমান করার জন্য।

আমাকে মাসি বলে এই মেয়েটা আর ডাকবে না। ফুটফুটে সুন্দর একটা মেয়ে। এত্তো চটপটে প্রাণবন্ত মেয়েটা আর আমাকে "শিলা কি জাওয়ানিতে" নাচ দেখাবে না। পাউট করে ছবি তুলবে না। মরে গিয়ে কি পেলি রে সোনা। বেচে থাকতেই না হয় আমরা ব্যবস্থা নিতাম।

তোর জায়গা আর কোনদিন পূরন হবে? দিদা ভাইয়োর কথাও ভাবলি না। নিজের ছোট্ট বোনটা।

ঘটনায় আসি। মেয়েটা অনেক ব্রিলিয়ান্ট ও অনেক চটপটে আর প্রাণবন্ত। ভিকারুননিসার ভর্তি পরীক্ষায় তৃতীয় হয়। এরপর আর পিছে ফিরে তাকায় ও নাই। সব সময় ভাল রেসাল্ট করে আসছে। এমন কোন কালচারাল ফাংশন নাই যেটায় ও অংশগ্রহণ করে নাই। দুই বোন, ছোটাটাও ভিকারুননিসায়।

তো এই মেয়েটা সাথে মোবাইল রাখতো। যারা ভিকারুননিসায় পড়েছো/পড়েছেন তারা জানো/জানেন, অনেক এই এভাবে লুকিয়ে মোবাইল রাখে। বাবা মায়ের সাথে যোগাযোগ রাখতে। ছুটির পর অনেক সময় চাইলেও দারোয়ান ফোন দিতে দেয় না। তাই এটা নিয়ম বহির্ভূত হওয়াতেও ও মোবাইল টা রাখতো।

এই মোবাইল টা পরীক্ষার শেষের টাইমে এক ম্যাডাম দেখে ফেলে। এই নিয়ে শুরু হয়, নকল নকল। আরে ভাই, মোবাইলে কেউ নকল করে? ফাইজলামি নাকি? মেয়েটা যতই বলে ম্যাডাম আমার ফোনে কিছু নাই, সে মানেই নাই। পরে আমার দিদা, ভাইয়ো ( মেয়ের মা বাবা) কে ডাকায় এবং ডাকানোর পর তাদের সাথে যা ইচ্ছা তাই আচরণ করে। ভাইয়ো বুঝাতে চাইলে, তাদের কে রুম থেকে বের করে দেয় আর বলে দেয় আগামীকাল টিসি দিয়ে দেবে। ওর কিন্তু বার্ষিক পরীক্ষা চলে। পরে মেয়েটা ম্যাডামের পা ধরতে যায়, ম্যাডাম সরায় দেয় ওকে।

লজ্জায় ও রুম থেকে বের হয়ে বাসায় চলে যায়। তারপর আজকের এই করুণ পরিণতি।

যেই স্কুলে পড়ানোর জন্য ওর মা বাবার ছিল ভীষণ আকাংখা। এত্তো পড়াশুনা করে ভর্তি যুদ্ধে জায়গা করে নেওয়া। সেই স্কুলই ওর মৃত্যুর জন্য দায়ী হলো।

সব কিছুর লিমিট আছে।

ডিসিপ্লিন ডিসিপ্লিন করে মাথা কিনে খাচ্ছে সবার।

নিজেদের ভাবে কি এরা? অন্যের বাবা মা এর সম্মান নাই? আত্মসম্মানবোধ নাই? মেয়েটার জন্য ডিসিশন যদি নিতেই হতো, পরীক্ষাটা শেষ পর্যন্ত দেখতো। এভাবে বাবা মা কে ডাকিয়ে ছোট করে কিভাবে। আবার বলে দেয় টিসি দিয়ে দেবে বলে। এসব কি শুরু হইলো।

এমন নিউজ হর হামেশা হয় দেখে জেনো আমরা উড়িয়ে না দেই। অনেক বেশি বেশি শুরু করসে স্কুলটা।অনেক বেশি বেশি। কিছু একটা এবার করা উচিত।

আর আপনারা যারা কিছুই জানেন না, না জেনে একটা মৃত মেয়েকে নিয়ে একটা কিচ্ছু বলবেন না। অনেকেই ইতিমধ্যে স্ট্যাটাস দিয়ে দিসেন। দয়া করে ভুল তথ্য ছড়াবেন না। আমাদের মানবিক দিকটা বিবেচনায় রাখবেন। এক মা আজকে সন্তান হারা হলো।

#we_want_Justice

 

(পূর্বাশা বিশ্বাসের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেওয়া)

পূর্বাশা বিশ্বাসের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেওয়া

-সিভয়েস/আরএইচ

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়