Cvoice24.com


প্রকাশ্যে বা গোপনে শপথ করার বিধান

প্রকাশিত: ১৩:৪৬, ২ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রকাশ্যে বা গোপনে শপথ করার বিধান

আমাদের মাঝে অনেকে অন্যের মাথায় হাত রেখে, মাজার বা পীরের নামে শপথ করে থাকে। কিন্তু ইসলামী বিধান মতে এগুলো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এমনকি তা শিরক ও সবচেয়ে বড় গুনাহের কাজ। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে শপথ করে, সে অবশ্যই কুফরি বা শিরক করল।’ (তিরমিজি শরিফ, হাদিস- ১৫৩৫)

শপথ কেবল আল্লাহ তাআলার নামে করতে হয়। কিন্তু কেউ কোরআন স্পর্শ করে শপথ করলে, সে শপথ রক্ষা করা অতীব জরুরি। কারণ কোরআন আল্লাহর তা’আলার পবিত্র কালাম। তাই এভাবে শপথ করাও এক ধরনের কসম। তবে মুসলিম উম্মাহর পূর্বসূরীরা এ ধরনের কোনো কাজ করেননি।

আল কোরআন আল্লাহ তাআলার পবিত্র কালাম হওয়ার কারণে কোরআনের মর্যাদা কোনোভাবেই ক্ষুণ্ন করা যাবে না, অবশ্যই তা পূরণ করতে হবে। আল্লাহর নামে কসম করলে যেমন তার মর্যাদা রক্ষা করা জরুরি, তেমনি কোরআন ছুঁয়ে শপথ করলেও এর মর্যাদা রক্ষা করা আবশ্যক।

কোনো ব্যক্তি আল্লাহর নামে করা শপথ ভঙ্গ করলে ‘কাফফারা’ স্বরূপ তিনটি কাজের যেকোনো একটি করতে হবে।

এক. ১০ জন দরিদ্রকে মধ্যম শ্রেণির খাদ্য সকাল-বিকেল দুই বেলা খাওয়াতে হবে। এটি অর্থমূল্যে দিতে চাইলে প্রত্যেককে পৌনে দুই কেজি গম বা তার অর্থমূল্য দিতে হবে।

দুই. ১০ জন দরিদ্রকে ন্যূনতম ‘সতর ঢাকা’ (শরীরের যতটুকু অংশ ঢাকতে হয়) পরিমাণ পোশাক-পরিচ্ছদ দান করতে হবে।

তিন. ক্রীতদাস থাকলে একজনকে মুক্ত করে দিতে হবে। কেউ যদি এ আর্থিক কাফফারা দিতে সমর্থ্য না হয়, তার জন্য কাফফারা হলো তিনটি রোজা রাখা। হানাফি মাজহাব মতে, ওই রোজা ধারাবাহিকভাবে রাখতে হবে।

কেউ যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে কসম করে, তাহলে তার কাফফারা হলো কালেমা ত্বাইয়েবা ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করা। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি শপথ করতে গিয়ে লাত ও উজজার (আরবের মূর্তির) নামে শপথ করে বসে, সে যেন বলে, ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’। (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত, হাদিস : ৩৪০৯

অহেতুক, কাজে-অকাজে শপথ করা ইসলাম সমর্থন করে না। আবার শপথ ভঙ্গ করাও ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। উপরন্তু শপথ ভঙ্গ করলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়। তাই শপথ করার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকা জরুরি।

সিভয়েস/এস.আর

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়