Cvoice24.com


ভারতগামী রোগীদের দুর্ভোগ লাঘবে সুপার স্মার্ট কার্ড

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ২৫ নভেম্বর ২০১৮
ভারতগামী রোগীদের দুর্ভোগ লাঘবে সুপার স্মার্ট কার্ড

ছবি : মিনহাজ ঝন্টু

প্রতিবছর চিকিৎসা সেবা ও ভ্রমণের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের নাগরিকদের ভারতে যাওয়ার প্রবণতা দিনকে দিন বাড়ছে। এক্ষেত্রে রোগী ও স্বজনদের কাঙ্খিত সেবা গ্রহণে পদে পদে বিভিন্ন দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। বিশেষ করে রোগ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা ফি, উপযুক্ত স্থান চেনা-জানা ও থাকা-খাওয়াসহ যাবতীয় বিষয়ে সমস্যার সম্মুখীন হন।

রোগী ও স্বজনদের অসহনীয় ভোগান্তি কমিয়ে স্বস্তি ও নির্বিঘ্নে চিকিৎসা প্রদানের নতুন দ্বার খুলে দিচ্ছে সুপার স্মার্ট কার্ড। এই উপলক্ষে রোববার (২৫ নভেম্বর) দুপুর একটায় চট্টগ্রামের সিনিয়ারস ক্লাবে সংগঠনটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে স্মার্ট কার্ডের যাবতীয় বিষয় তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কলকাতার জেনেসিস হাসপাতালের চেয়ারম্যান ড. পূর্নেন্দু রায় জানান, ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশের ৫৮ হাজার লোক ভারতে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের জন্য ভিসা নেন। এর মধ্যে প্রতিদিন পাঁচশত লোক ভারতে চিকিৎসার জন্য আবেদন করে। এত সংখ্যক রোগী অনেকেই রোগ অনুযায়ী চিকিৎসা ব্যয়, হোটেলে থাকা-খাওয়া, ভ্রমণের জন্য খরচের বিষয়টি জানান না। সুপার স্মার্টের কার্ডের মাধ্যমে রোগী দেশে বসে চিকিৎসা ব্যয়ের খরচ জানতে পারবেন। এর পাশপাশি তিনি স্বল্পমূল্য বিমান, ন্যায্যমূল্য ওষুধ, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শপিং, হোটেলের থাকার খরচ ছাড়াও প্রতি চিকিৎসার খরচের পেছনে ১৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট সুবিধা পাচ্ছেন।

সুপার স্মার্টের বিভিন্ন সুবিধা তুলে ধরে চেন্নাইয়ের গ্লোবাল হাসপাতালের চিকিৎসক গিয়াস উদ্দিন জানান, একজন নাগরিক কলকাতায় নেমে কি করবেন, কোথায় যাবেন বুঝে উঠতে পারেন না। তিনি স্মার্ট কার্ড বহন করলে হাসপাতালের খরচসহ সবকিছু বিষয়গুলো জানতে পারবেন। অনেক চিকিৎসক বাংলা না বুঝার কারণে প্রকৃত রোগ সম্পর্কে অবগত হতে পারেন না। এক্ষেত্রে আমরা হাসপাতালে বাংলার অনুবাদক রাখছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বর্তমানে ৭০ টি হাসপাতাল ও ১২০ টি হোটেল ও বেশ কয়েকটি বিমান এয়ার লাইন্সে সুপার স্মার্টে সম্পৃক্ত হয়েছে। বিশেষ করে প্রি-পেইড ও পোস্ট-পেইড এই দুটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রাহকরা সেবা নিতে পারবেন। পোস্ট-পেইড গ্রহকরা ১৫০০ টাকায় বছর মেয়াদী ও প্রিপেইড গ্রাহকরা একশ টাকায় সুবিধা পাবেন। কলকাতা ছাড়াও চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দাবাদের বেসরকারি হাসপাতালগুলো এই কার্যক্রমের অনুর্ভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে অনলাইনে গ্রাহকরা এই সুবিধা নিলেও অতিদ্রুত দেশের ৬৪ টি জেলায় তথ্য সেবা খোলা হবে বলেও জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কেরালার মাহার আয়ুবেদিক হাসপাতালের ড. আনিকা রায়, কলকাতার মারসি হাসপাতালের রিসার্চ সেন্টার মিশনের ড. সুমিত ব্যানার্জী, জি. ডি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াবেটিকস সেন্টারের ড. কল্যাণ সরকার, অর্নিবান সেন।

-সিভয়েস/এমআই/এসএ/এমইউ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়