Cvoice24.com


‘রাস্তা কাটাকাটির ডেড লাইন চলতি নভেম্বর’

প্রকাশিত: ১২:১৩, ২০ নভেম্বর ২০১৮
‘রাস্তা কাটাকাটির ডেড লাইন চলতি নভেম্বর’

ছবি : সিভয়েস

উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চট্টগ্রাম ওয়াসা, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড ও টিএন্ডটিসহ সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থাগুলোকে রাস্তা কর্তন করতে হয়। এতে করে নাগরিক দুর্ভোগ, ভোগান্তি ও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী জোট এই দুর্ভোগ ভোগান্তিকে ইস্যু বানিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া নির্বাচনকালীন সময়ে যানজট বা দুর্ভোগহীন যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই নির্বাচন পর্যন্ত সেবা সংস্থাগুলোকে এ রাস্তা কাটা কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখতে হবে। রাস্তা কর্তন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম কেবলমাত্র ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলমান রাখা যাবে।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসা, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লি. এবং টিন্ডটিসহ সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। আগামীকালের মধ্যেই সকল সংস্থাকে চিঠি পাঠিয়ে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য অবগত করা হবে। 

মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে চসিকের পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের ৪০তম সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। 

রাস্তা কাটাকাটির চলতি নভেম্বর ডেড লাইন ঘোষণার বিষয়ে সিটি মেয়র বলেন, সামনে নির্বাচন। সকল ধরণের নাগরিক ভোগান্তি দুর্ভোগ নিরসনের লক্ষ্যে নগরীর সকল সড়ক সংস্কার ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম দ্রুত পরিচালিত হচ্ছে। নির্বাচনের এই মৌসুমে জনগণ যাতে কোন হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। তবে সেবা সংস্থাগুলোর উন্নয়ন কর্মকান্ডে রাস্তাঘাট কাটাকাটি হচ্ছে। এতে করে সৃষ্ট দুর্ভোগ ভোগান্তিকে ইস্যু বানিয়ে বিরোধী জোট বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাতে পারে। তাছাড়া নির্বাচনকালীন মৌসুমে রাস্তাঘাট নিট এন্ড ক্লিন থাকা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই ওয়াসা, কর্ণফুলী গ্যাসসহ সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থাগুলোকে আগামী ডিসেম্বর মাস কাটাকাটি কাজ শতভাগ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, রাস্তা কাটাকাটি বন্ধ হলে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ বা মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নগরীর সড়কগুলোর মেরামত কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।

সভায় উপস্থিত ওয়াসার নির্বাহি প্রকৌশলী মো নুরুল আমিন এসময় মেয়রকে জিজ্ঞাসা করেন, স্যার অনেক সময় পানির সরবরাহ লাইনে লিকেজ সৃষ্টি হয়। এই লিকেজ সারানোর জন্যও আমাদেরকে রাস্তা কাটতে হয়। আবার সৃষ্ট লিকেজ সারানো না হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে করণীয় নির্ধারণে আপনার নির্দেশনা প্রত্যাশা করছি।

সিটি মেয়র এ প্রসঙ্গে বলেন, লিকেজ সারানোর জন্য যদি রাস্তা কাটাকাটি করতে হয় তখন আপনারা সিটি কর্পোরেশন প্রকৌশল বিভাগকে সাথে সাথে অবগত করবেন। যাতে করে লিকেজ সারানোর সাথে সাথে আমরা দ্রুত রাস্তা মেরামত করতে পারি। 

সভায় মেয়র আগামীকালের মধ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সাঁটানো পোস্টার ব্যানার অপসারণের জন্য পরিচ্ছন্ন বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। 

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পোস্টার ব্যানার অপসারণের জন্য  প্রয়োজনে অতিরিক্ত জনবল কাজে লাগাতে হবে।

সভায় প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থা প্রতিনিধি ও চসিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিগত সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন সাপেক্ষে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

-সিভয়েস/ইউডি/এসএ/এমইউ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়