Cvoice24.com


জালালাবাদ ও দক্ষিণ পাহাড়তলীতে ১৪৮ কোটি টাকার প্রকল্প

প্রকাশিত: ১৪:০২, ২৬ অক্টোবর ২০১৮
জালালাবাদ ও দক্ষিণ পাহাড়তলীতে ১৪৮ কোটি টাকার প্রকল্প

নগরীর ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ও ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ডে ১৪৮ কোটি ৪২ লাখ ৮৮ হাজার উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড দুইটি চট্টগ্রাম-৫ আসনের অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি সাংসদ প্রকল্প থেকে তা বাস্তবায়নে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। 

শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে বন,পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রী এবং সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এই দুই ওয়ার্ড এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করেছেন।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, সাংসদ প্রকল্পের অধীনে এডিপি’র অর্থায়নে দক্ষিণ পাহাড়তলী ও জালালাবাদ ওয়ার্ডে মোট ২০৭টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের উন্নয়নে মোট  ৭৪টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এরমধ্যে এডিপি’র ১২০ কোটি টাকা প্রকল্পে ৭টি সড়ক, ৭১৬ কোটি টাকা প্রকল্পে ৪টি সড়ক, ৩৮২ কোটি টাকা প্রকল্পে ৫টি সড়ক এবং ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা প্রকল্পের আওতায় সড়কসহ ৫৮টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩৮ কোটি ৮০ লাখ ৬ হাজার  টাকা। 

অন্যদিকে, ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের উন্নয়নে মোট ১৩৩টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এতে এডিপি’র ১২০ কোটি টাকা প্রকল্পে ৭টি সড়ক, ৭১৬ কোটি টাকা প্রকল্পে ১৩টি সড়ক, ৩৮২ কোটি টাকা প্রকল্পে ৫টি সড়ক এবং ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা প্রকল্পের আওতায় সড়কসহ ১০৮টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এজন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১০৯ কোটি ৬২ লাখ ৮২ হাজার টাকা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বন,পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ এখন ভারত বা পাকিস্তানের চেয়ে উর্ধ্বে অবস্থান করছে। নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের এক পর্যবেক্ষণে এই তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশ এখন এশিয়ায় উন্নয়নের রোল মডেল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশ এখন ক্ষুধা, দারিদ্র্র্যমুক্ত এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের  জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে সরকার কয়েকটি প্রকল্প বরাদ্দ দিয়েছেন। এই প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চট্টগ্রামের জনগণ এই প্রকল্পের সুফল ভোগ করবে। বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখা আজ সময়ের দাবি হয়ে ওঠেছে। 

অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই চট্টগ্রামের উন্নয়নের ভার নিজ হাতে তুলে নিয়েছেন। চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিনি একের পর এক প্রকল্প বরাদ্দ দিয়ে চলেছেন। সম্প্রতি তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে সড়ক নেটওয়ার্ক প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমোদন দিয়েছেন। এই প্রকল্পে সিটি কর্পোরেশনকে নিজস্ব ফান্ড থেকে ম্যাচিং ফান্ড প্রদান করার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আয় সীমাবদ্ধতার কথা তার কাছে সবিনয়ে উপস্থাপন করা হলে তিনি জিরো ম্যাচিং ফান্ডে প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছেন। আগামীতে জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সুযোগ পেলে এই চট্টগ্রাম নগরী হবে প্রাচ্যের রাণী। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবু,তৌফিক আহমদ চৌধুরী আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কদর, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প-বাণিজ্য সম্পাদক আলহাজ্ব মো. আজাদ খাঁনসহ ওয়ার্ড, থানা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

-সিভয়েস/ইউডি/এসএ/এমইউ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়