Cvoice24.com

শিল্পী, সাহিত্যিক, সংষ্কৃতি কর্মী ও সমাজ কর্মীদের আয়োজনে আড্ডা
কানাডায় বাংলাদেশিদের মিলনস্থল 'মিজান অডিটোরিয়ামকে’ স্বীকৃতি দেয়া হবে : লাকী

প্রকাশিত: ০১:৪৬, ২৪ অক্টোবর ২০১৮
কানাডায় বাংলাদেশিদের মিলনস্থল 'মিজান অডিটোরিয়ামকে’ স্বীকৃতি দেয়া হবে : লাকী

কানাডায় শিল্পী, সাহিত্যিক, সংষ্কৃতি ও সমাজ কর্মীদের সাথে লিয়াকত আলী লাকী। বিদ্যুৎ সরকারের ছবি

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত লাকী বলেছেন, কানাডায় অবস্থানরত বাংলাদেশীসহ বাঙলা ভাষাভাষী সকলের মিলনস্থলে পরিণত হয়েছে মিজান কমপ্লেক্সের মিজান অডিটোরিয়াম হল। এ অডিটোরিয়ামের মাধ্যমে বাংলা ভাষাভাষীরা নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করার সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশীরা নিজের স্বত্ত্বাকে তুলে ধরছেন। স্বল্প খরচে কানাডার প্রাণকেন্দ্রে এ রকম একটি অডিটোরিয়াম হল সকল বাংলাদেশীদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। তাই এ অডিটোরিয়ামের মালিককে দেশ থেকে স্বীকৃতি দেয়া দরকার। কারণ এটি একটি দেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। গত ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় কানাডার টরন্টো সিটির ড্যানফোর্থ এলাকায় মিজান অডিটোরিয়ামে শিল্পী, সাহিত্যিক, সংষ্কৃতি কর্মী ও সমাজ কর্মীদের নিয়ে অন্যথিয়েটার টরন্টো ও অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে একটি আড্ডায় যোগ দিয়ে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। 

লিয়াকত আলী লাকী আরো বলেন, আমি কানাডায় এসেছি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। টরন্টোতে এসে এখানকার শিল্পী, সাহিত্যিক, সংষ্কৃতি কর্মী ও সমাজ কর্মীরা এত বড় আয়োজন করবে আমি ভাবতে পারেনি। এ আয়োজন সত্যিই আমাকে বিমোহিত করেছে। অবশ্যই তারা এ আয়োজন করতে পেরেছেন কানাডার বুকে মিজান অডিটোরিয়ামের মত একটি প্রতিষ্ঠান ছিল বলে। তাই আমি দেশে গিয়ে এ অডিটোরিয়ামের মালিককে দেশ থেকে স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করবো। কারণ এ প্রতিষ্ঠানটে পুরো বাংলাদেশকে কানাডায় উপস্থাপন করছেন। এটি অনেক বড় কাজ। 

টরন্টোতে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লি:'র রোড শো অনুষ্ঠিত

উল্লেখ্য, তিনি আড্ডায় তার পুরনো দিনের অনেক স্মৃতি তুলে ধরেন। পুরাতন সংষ্কৃতি কর্মী ও সহকর্মীদের পাশে পেয়ে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন সংষ্কৃতিকর্মীরাও। তারা প্রিয় লাকী ভাইয়ের সাথে বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় যত স্মৃতি ছিল তা তুলে ধরেন। সকলে নিজ নিজ স্মৃতি তুলে ধরে এক প্রাণবন্ত আড্ডার সৃষ্টি করেন। সাথে গান, আবৃত্তি আরো সুমধুর করে তুলে আড্ডাকে। প্রিয় মানুষকে কাছে পেয়ে এ আড্ডা যেন শেষ হয়। সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলা আড্ডায় যোগ দেন প্রায় শতাধিক গুণী মানুষ। অনেকে প্রিয় মানুষটিকে কাছে পেয়ে জানান ফুলেল শুভেচ্ছা। সবশেষে চা-কপি ও রাতের খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় আত্মমিলনের সেই আড্ডা।

সিভয়েস/এমআইসি/এমআইএম

মফিজুল ইসলাম চৌধুরী, কানাডা থে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়