Cvoice24.com


শহুরে ব্যস্ত জীবনে প্রশান্তি দিতে পারে পদ্মা রিসোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮
শহুরে ব্যস্ত জীবনে প্রশান্তি দিতে পারে পদ্মা রিসোর্ট

শহরের ব্যস্ত জীবনে হাঁপিয়ে উঠে মানুষ। তাই মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে ইট-পাথরের এ শহুরে জীবন থেকে একটু দুরে গিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস নিতে।

যেখানে নদীর মাঝে বয়ে চলে ঢেউ আর চারদিকে সবুজে ঘেরা মাঠ। ব্যস্ত কোনো সপ্তাহ শেষে ছুটির দিনে কিংবা কোনো অবসরে সবারই মন চায় অবসাদগ্রস্থ দেহকে একটু প্রশান্তির ছায়া এনে দিতে। ভ্রমণপিয়াসী মানুষ তাই সবসময়ই অপেক্ষায় থাকে শহর ছেড়ে একটু বেড়িয়ে আসার।

হাতে অল্প সময় এবং বাজেট নিয়ে ঘোরার মতো জায়গার অবশ্য অভাব নেই ঢাকার আশপাশে। এর মধ্যে অন্যতম হলো পদ্মা রিসোর্ট। পদ্মা নদীর গা ঘেঁষে জেগে ওঠা চড়ের মধ্যেই অপূর্ব সুন্দর জায়গাটি তৈরি করা হয়েছে। চারদিক সবুজ দিয়ে ছেয়ে থাকা রিসোর্টের পাশেই বয়ে চলেছে পদ্মা নদী। পরিবার এবং বন্ধু-পরিজন নিয়ে সময় কাটানোর জন্য একটি চমৎকার জায়গা হতে পারে এটি।

কীভাবে যাবেন:
মজার ব্যাপার হচ্ছে পদ্মা রিসোর্ট ঢাকা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি অবস্থান করছে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার লৌহজং থানার একদম পাশে পদ্মা নদীর বুকে। যদি নিজের প্রাইভেট গাড়ি থাকে তাহলে যেতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগবে। আর বাস দিয়ে গেলে প্রথমে গুলিস্তান যেতে হবে। সেখান থেকে গাংচিল পরিবহনে করে সরাসরি লৌহজংয়ের আসতে পারবেন। ভাড়া নেবে ৭০ টাকা। অথবা মাওয়া ঘাটে নেমে তারপর লৌহজং আসতে পারেন। সেক্ষেত্রে গুলিস্তান থেকে বাসের অভাব হবে না। রামপুরা-মালিবাগ থেকে কেউ আসতে চাইলে প্রচেষ্টা পরিবহনে উঠতে পারেন মাওয়াঘাট পর্যন্ত। মাওয়া থেকে অটোরিকশায় করে লৌহজং থানা আসতে পারবেন। রিজার্ভ করলে ভাড়া নিবে ১০০ টাকার মতো। সেখানে থানার পাশেই ঘাট রয়েছে। আর নদীর ওপারে তাকালেই দেখতে পারবেন অপূর্ব এবং ছিমছাম পদ্মা রিসোর্ট। আগে থেকে ফোনে যোগাযোগ করে গেলে রিসোর্টের নিজেদের ইঞ্জিন চালিত নৌকা আপনাকে ওই পারে নিয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে ভাড়া লাগবে প্রতিজনের ৫০ টাকা করে। অবশ্য এই ভাড়ায় আসা-যাওয়া দুটি পারাপারই রয়েছে। নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি পার্ক করতে চাইলে থানার পাশেই জায়গা রয়েছে। দরকার হলে থানার লোকজনকে একটু জানিয়ে নিন। না হয় রিসোর্টের ম্যানেজারকে বলুন।

খাবারের আয়োজন:
পদ্মা রিসোর্টে ঢুকলে আপনাকে এখানেই খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। নিজেদের সু-সজ্জিত রেস্টুরেন্টে খাবারের মান বেশ ভালোই বলা চলে। সকালে নাস্তা করতে চাইলে ১০০ টাকা লাগবে। পদ হিসেবে থাকবে পরটার সাথে সবজি, ডিম আর চা। পানির বোতল আলাদা নিজে কিনতে হবে অবশ্য। আর দুপুরের খাবার খরচ ৪০০ টাকা। এই প্যাকেজে থাকবে সাদা ভাত, সবজি, ইলিশ মাছ ভাজি, মুরগির মাংস এবং ডাল। খাবারের স্বাদ বেশ ভালো। তবে একটি কথা বলে রাখা ভালো। রেস্টুরেন্টের লোকজন আপনাকে এসে পানির বোতল, সফট ড্রিংকস কিংবা চা-কফি সাধতে থাকবে। এমনভাবে বলবে যে মনে হবে এটি প্যাকেজেরই অংশ। তাই কোনো কিছু খাওয়ার আগে জেনে নিন এটি আপনার প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে নাকি। না হয় পরে এর জন্য আবার আলাদা টাকা গুনতে হবে আপনাকে।

যোগাযোগ:
ছুটির দিন কিংবা ঈদের বন্ধ ছাড়া বুকিং না করে গেলেও সাধারণত কটেজ খালি পাওয়া যায়। তবে আগে থেকে ম্যানেজারের সাথে কথা বলে গেলে ভালো। উনারা সব ব্যবস্থা করে রাখবেন। বুকিংয়ের জন্য পদ্মা রিসোর্টের নিজস্ব ওয়েবসাইটে সব তথ্য পাওয়া যাবে।

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়