Cvoice24.com


পেয়ে গেলাম কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট

প্রকাশিত: ১১:০৬, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
পেয়ে গেলাম কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট

আসসালামু আলাইকুম, আমার সকল ফেসবুক বন্ধু, শুভাকাঙ্খী, ও স্বজনদের শুভেচ্ছা। আমি বিজিএমইএ জার্নালিজম ফেলোশিপ এওয়ার্ড নিয়ে গত ২২ জুন আমেরিকায় যাই। ৩০ জুন আমেরিকায় আমাদের ফেলোশিপ প্রোগ্রাম শেষ হলে, আমরা ৫জন ফেলোকে আরো ১ সপ্তাহ আমেরিকায় বেড়ানোর সুযোগ দেওয়া হয়। ওই সময় অন্যরা আমেরিকায় ঘুরে বেড়ালেও আমি আমার এক বড় ভাইয়ের আমন্ত্রণে বেড়াতে যাই কানাডায়। সেখানে এসে বেশ কয়েকজন শুভাকাঙ্খীর সাথে দেখা হয়। তাদের পরামর্শক্রমে থেকেই গেলাম কানাডা। পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে কানাডা প্রবাসী বেশ কয়েকজনের সহযোগীতায় হাতে পেলাম কানাডার ওয়ার্ক পারমিট। যাক এতদিন ধরে কানাডায় বৈধ কোন কাগজ পত্র না পাওয়ায় ফেসবুক ব্যবহার থেকে দূরে ছিলাম। ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর স্বমহিমায় ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে।

আপনারা যারা এতদিন আমার বদনাম করেছেন তাদের নিয়ে আমার কোন রাগ নেই। আর যারা শুভাকাঙ্খী, আমার অজান্তে মানসিকভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। 
একটি কথা বলে রাখি, সাংবাদিকতা করে নিজের যোগ্যতায় গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে প্রতিবেদন করে তিনজন মেনটর এর কাছে চার বার সাক্ষাতকার দিয়ে ফেলোশিপ অর্জন করেছি। এখানে কারো সহযোগিতা করার সুযোগ ছিলনা। কিছু মানুষ হিংসাত্মক হয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করেছিল এমনকি বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাছির ভাইকেও দোষারোপ করার চেষ্টা করেছিল। অথচ আমি ফেলোশিপ এ আবেদন করেছি এটি নাছির ভাই’র অজানা ছিল। 

যারা নাছির ভাইকে দোষারোপ করেছেন তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে করা প্রতিবেদনগুলো কি আমাকে নাছির ভাই করে দিয়েছিল? 

জুরি বোডের মেন্টরদের কাছে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় কি নাছির ভাই ছিল?
ফেলোশিপ এ গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে দুটি ভালো প্রতিবেদনের প্রপোজাল জমা দেওয়ার সময় কি নাছির ভাই ছিল?

আমরা ৬ জন সংবাদকর্মী ফেলোশিপ পেয়েছিলাম এর মধ্যে কাবেরী মৈত্রী নামের এক সংবাদকর্মী ফেলোশিপ এ অংশগ্রহণ করতে পারেনি। কারণ সে আমেরিকার ভিসা পায়নি। আমেরিকা নেওয়ার নাছির ভাইয়ের যদি এতই ক্ষমতা থাকত, তবে তিনি কাবেরী কে নিতে পারেনি কেন? 

এখানে মূল বিষয় হচ্ছে আমার সাথে নাছির ভাইকে জড়িয়ে একটি কুচক্রীমহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে। 

আপনাদের আরো বলে রাখি, আমি চট্টগ্রামে সাড়া জা্গানো দৈনিক প্রিয় চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ছিলাম। এটাও কি নাছির ভাইয়ের সহযোগিতায়? আমি বাংলাদেশের স্বনামধন্য জাতীয় পত্রিকা দৈনিক মানবকন্ঠের ৩ বছর স্টাফ রিপোর্টার ছিলাম। পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব পালন করি। বর্তমানে চট্টগ্রামের মিডিয়া পাড়ার সবচাইতে আলোচিত অনলাইন পোর্টাল সিভয়েস মিডিয়ার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এটাও কি বিজিএমইএ সহসভাপতি নাছির ভাইয়ের সহযোগিতায়? আমি তরুণ সফল সাংবাদিক ও সংগঠক হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মাননা অর্জন করেছি- এসবও কি উনার সহযোগিতায়! অতএব কুচক্রীমহল সাবধান। আমি আমার যোগ্যতায় ওঠে এসেছি। চলার পথে আমি অনেককে সহযোগিতা করেছি। অনেকে আমাকে সহযোগিতা করেছে। তবে এটা ভিন্ন বিষয় ।

এবার আসা যাক অন্য একটি বিষয়ে, আমরা যখন ফেলোশিপ এ মনোনীত হলাম তখন শর্ত ছিল, আমেরিকায় থেকে যেতে পারবো না। সেই শর্ত অনুযায়ী আমি আমেরিকায় থাকিনি। আমি আমেরিকা থেকে কানাডা গিয়ে অবস্থান করছি। অতএব, আমি শর্তভঙ্গ করিনি। কোন অন্যায় করিনি। কে কী বলছে এসবের আমি ধার ধারি না। আমার বিবেকের কাছে আমি পরিষ্কার। 

বর্তমানে আমি কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট পেয়েছি। আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি। ভবিষ্যতেও ভাল থাকতে পারি মত সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি।
 
যারা বদনাম করেছেন, হিংসা করেছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ রইলো সবকিছু জেনে শুনে মন্তব্য করা ভাল। আপনারা আমার শুভকামনা না করলেও আমি আপনাদের শুভকামনা করি। 
সকলের কাছে আবারো দোয়া চাই। সুন্দর হোক আমাদের সকলের জীবন। আমরা যেন সবাই ভাল থাকি। 

সিভয়েস টুয়েন্টিফোর ডটকমের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মফিজুল ইসলাম চৌধুরী'র (বাবলু) ফেসবুক থেকে নেয়া

সিভয়েস/এমআইএম

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়