৬ বছর বয়সেই ‘বিশ্ব সুন্দরী’র খেতাব!

অনেকেই বলে থাকেন পৃথিবী সুন্দরের পূজারি। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে। কী সে ঘটনা? তা হলো- মাত্র ছয় বছর বয়সী এক শিশু সারা বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছে। হয়েছেন নামিদামি সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম।

এই বয়সেই রুশ শিশুকন্যা অ্যানাস্তাসিয়া কেনিজেভা অ্যানা কে নিয়ে কেন এতো হইচই? এক কথায় উত্তর দিলে, নিজের ইনস্টাগ্রামে রেকর্ডসংখ্যক অনুসারী রয়েছে এই রুশ কন্যার। আর এ অনুসারীই তাকে ‘বিশ্ব সুন্দরী’র খেতাব দিয়েছেন। বিশ্বের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম গুলোও তার খবর ফলাও করে লিখছে। অ্যানাস্তাসিয়া কেনিজেভা অ্যানার মা তাকে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খুলে দেন। ব্যস, অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরপরই আড়াই মিলিয়ন অনুসারী যোগ দেয় তার ইনস্টাগ্রামে। অবিশ্বাস্য ব্যাপার হলো, ইতোমধ্যে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ মিলিয়নেরও অধিক। ইংলিশ জনপ্রিয় ট্যাবলয়েড ‘মেট্রো’ এমনটিই জানিয়েছে। স্যোসাল মিডিয়ায় অ্যানার এই তুমুল জনপ্রিয়তা দেখে ইউরোপের মিডিয়া তাকে নতুন থিলান ব্লনডিউ আখ্যা দিতে শুরু করেছে। এর কারণ হচ্ছে, ফরাসি মডেল থিলান ব্লনডিউয়ের মতোই অ্যানাস্তাসিয়া কেনিজেভা অ্যানার রয়েছে আকর্ষণীয় নীল চোখ আর বাদামি চুল। ছোটবেলায় নাকি দেখতে ঠিক এমনটিউ ছিলেন ফরাসি মডেল থিলান ব্লনডিউ। অ্যানাকে সুন্দরী হিসেবে গোটা বিশ্বের সামনে উপস্থাপনের করার পেছনে মূল কারিগর হচ্ছেন তার মা। যিনি কিনা প্রতিনিয়তই মেয়ের মডেলিং অ্যাডভেঞ্চারের ছবিগুলো ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন। ইতোমধ্যে, অ্যানার প্রচুর জনপ্রিয়তা দেখে বড়সড় প্রতিষ্ঠানগুলো হুমড়ি খাচ্ছে। লক্ষ্য অ্যানাকে দিয়ে পণ্যের বিজ্ঞাপন করানো। অ্যানার এক ভক্ত বলেই দিয়েছেন, অ্যানা একদিন রাশিয়ান সুপার মডেল ইরিনা শায়েকের আসন দখল করে নিবে। অপরদিকে, অনেকে আবার অ্যানার মাকে রীতিমত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েও ফেলেছেন। তাদের ভাষ্যমতে- ‘শিশুরা সুন্দর হয়, কিন্তু এত কম বয়সে অ্যানাকে নেট দুনিয়ায় আনা মোটেই ঠিক হয়নি।’

সিভয়েস/এএইচ