সিআইইউর শিক্ষার্থী আবিষ্কার করলেন অনুভূতি চেনার সিস্টেম
ছবি: সিআইইউর স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন ও শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থী কাঁকন বড়ুয়া।
চিটাগাং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউর) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী কাঁকন বড়ুয়ার আবিষ্কার করেছেন মেশিন লার্নিং পদ্ধতি বা একটি অনুভূতি চেনার সিস্টেম, যা বলে দেবে মানুষের মনের অভিব্যক্তি।
কেবল রাগ নয়, রাগের সঙ্গে হাসি, দুঃখ আর নিরপেক্ষতা-এই চার ধরনের অনুভূতি চিনতে পেরে মেশিন লার্নিং পদ্ধতি ঠিক ঠিক জানিয়ে দেবে কে কোন ধরনের কথা বলছেন।
রোবাবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আয়োজনে নগরীর জামালখানের সিআইইউ ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হলো সেমিনার। সেখানে নিজের তৈরি প্রজেক্টটি উপস্থাপন করেন শিক্ষার্থী কাঁকন বড়–য়া। অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ডিন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মেশিন লার্নিং পদ্ধতির নানা দিক তুলে ধরতে গিয়ে কাঁকন বড়ুয়া জানান, মূলত এটি একটি অনুভূতি চেনার সিস্টেম যেটি রেকর্ড করা বাক্যকে বিশ্লেষণ করে। পরে মেশিন লানিং এর মাধ্যমে সঠিক অনুভূতির আউটপুট দেয়।
মেশিন লার্নিং পদ্ধতি চার ধরনের অনুভূতি নিয়ে কাজ করতে পারে। একজন মানুষের জীবনে রাগ, হাসি, দুঃখ আর নিরপেক্ষতা অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। এসব বিষয় চিহিৃত করা যাবে শুধু তার মুখের নানা কথা শুনেই। অর্থাৎ ভয়েস শুনেই মেশিন পদ্ধতি জানিয়ে দেবে তিনি কি রেগে কথা বলছেন, না দুঃখ পেয়ে।
কীভাবে কাজ করবে পদ্ধতিটি?- জানতে চাইলে গবেষণা প্রিয় কাঁকন বড়ুয়া জানান, এই সিস্টেমটি প্রথমে মাইক্রোফোনের মাধ্যমে একজন মানুষের একটি অভিব্যক্তি রেকর্ড করবে। পরে রেকর্ড করা বাক্যটি থেকে অডিও উপাদানগুলো সংগ্রহ করবে নিজেই। তারপর এগুলোকে বিশ্লেষণ করে দেবে আউটপুট।
পদ্ধতি আবিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে কাঁকন বড়ুয়া বলেন, মেশিন লার্নিং পদ্ধতি বিভিন্ন সেক্টরে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে। কৃত্রিম যন্ত্রমানব, কল সেন্টার, কার ড্রাইভিং এর পাশাপাশি চিকিৎসা খাতে অনেক বেশি সহযোগিতা করতে পারবে।
এই শিক্ষার্থীর পুরো প্রজেক্টটির সুপারভাইজার ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আসিফ ইকবাল। তিনি বলেন, আগে একজন মানুষের ছবির ভাষা দেখে আরেকজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু মেশিন লার্নিং পদ্ধতি ভয়েস শুনেই চারটি অনুভূতি প্রকাশ করতে পারবে।
সেমিনারে স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল হক খান বলেন, এই ধরনের পদ্ধতির পরিপূর্ণ ব্যবহার হলে মানুষের কল্যাণ বয়ে আসবে। সরকারিভাবে পৃষ্টপোষকতার পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও এই নিয়ে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
-সিভয়েস/এমডিকে/এমইউ
সিভয়েস ডেস্ক